Accounting assignment solution SSC-2021
|SSC Accounting assignment solution-2021
২য় অধ্যায়: ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচিতি
ক) লেনদেনের প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য Accounting assignment solution SSC-2021
- লেনদেন হতে হলে ঘটনাকে অবশ্যই অর্থের অঙ্কে পরিমাপযোগ্য হতে হবে।
- কোনো ঘটনা তখনই লেনদেন হিসেবে গণ্য হবে যখন তার দ্বারা ব্যবসায় বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন সাধিত হবে।
- প্রতিটি লেনদেনে দুটি পক্ষ থাকতে হবে। একপক্ষ সুবিধা গ্রহণ করবে এবং অন্যপক্ষ সুবিধা প্রদান করবে।
- প্রতিটি লেনদেন স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থাৎ একটি আরেকটি হতে সম্পূর্ণ আলাদা হবে।
- দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান উভয় ধরনের লেনদেন হতে পারে।
- ভবিষ্যতে ঘটতে পারে এমন ঘটনা ব্যবসায়ের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন সাধন করলে অবশ্যই তা লেনদেন বলে গণ্য হবে। যেমন : অনাদায়ী পাওনা সঞ্চতি, বাট্টা সঞ্চিতি ইত্যাদি।
- প্রতিটি লেনদেনই হিসাব সমীকরণে প্রভাব বিস্তার করে। হিসাব সমীকরণ হলো : সম্পদ = দায় + মালিকানা স্বত্ব।
খ) কোনো ঘটনা লেনদেন হলে তা হিসাব সমীকরণের উপাদানগুলোকে পাঁচভাবে প্রভাবিত করে থাকে। যথা :
১. মোট সম্পদ বাড়লে মোট দায় অথবা মালিকানা স্বত্ব বাড়বে।
২. মোট সম্পদ কমলে মোট দায় অথবা মালিকানা স্বত্ব কমবে।
৩. একটি সম্পদ বাড়লে অপর একটি সম্পদ কমবে।
৪. মালিকানা স্বত্ব বাড়লে মোট দায় কমবে।
৫. মালিকানা স্বত্ব কমলে মোট দায় বাড়বে।
গ) হিসাব সমীকরণ বিশ্লেষণ এবং লেনদেন এর প্রভাব : A = L + E
এখানে,
A = Assets (সম্পদসমূহ)
L = Liabilities (দায়সমূহ)
E = Equity (মালিকানা স্বত্ব)
সম্পদ : সম্পদ বলতে বোঝায় অর্থনৈতিক পরিসম্পদ যা কোনো ব্যবসায়ের মালিকানাধীন থাকে এবং যা
মুনাফা অর্জনের কাজে ব্যবহৃত হয়।
দায় : দায় হচ্ছে ব্যবসায়ের আর্থিক দায়বদ্ধতা যা ব্যবসায়ের একটি নির্দিষ্ট সময় পরে অবশ্যই পরিশোধ
করতে হয়। অর্থাৎ ব্যবসায়ের মোট সম্পদের উপর তৃতীয় পক্ষের দাবিই হচ্ছে দায়।
মালিকানা স্বত্ব : মোট সম্পদের উপর মালিকের যে দাবি তাই হচ্ছে মালিকানা স্বত্ব। মালিকানা স্বত্বকে
চারটি উপাদান অর্থাৎ মালিকের বিনিয়োগ, রেভিনিউ বা আয়, উত্তোলন এবং ব্যয় বা খরচ প্রভাবিত
করে।
সুতরাং, হিসাব সমীকরণটিকে বর্ধিত করলে পাওয়া যায়,
সম্পদ = দায় + মূলধন + রেভিনিউ বা আয় Ñ ব্যয় Ñ উত্তোলন
অর্থাৎ,A = L + (C + R – E – D)
ঘ) ২০২০,জুন-২০; রশিদ এন্ড সন্স এর কাছ থেকে ধারে ক্রয় ৭,০০০টাকা। চালান:
৬ষ্ঠ অধ্যায়: সাধারণ জাবেদা
ক) জাবেদার ধারণা:
জাবেদার গুরুত্ব:
প্রতিষ্ঠানের হিসাবের বই নির্ভুল ও স্বচ্ছ হওয়া অত্যাবশ্যক। এই হিসাবের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ফলাফল ও সার্বিক আর্থিক অবস্থা নিরূপণ করা হয়। হিসাববিজ্ঞানের মুখ্য এই উদ্দেশ্য অর্জনে জাবেদা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
লেনদেন লিপিবদ্ধকরণ : দৈনন্দিন সংঘটিত লেনদেনগুলোকে জাবেদায় তারিখের ক্রমানুসারে ধারাবাহিক আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়। এ কারণে লেনদেনগুলো পরবর্তীতে খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তকরণে কোন অসুবিধা না হয়।
লেনদেনের মোট সংখ্যা ও পরিমাণ জানা : জাবেদায় লেনদেন তারিখের ক্রমানুসারে লিখা হয় বলে নির্দিষ্ট তারিখে, সপ্তাহে বা মাসে মোট কয়টি লেনদেন ঘটেছে তা সহজেই জানা যায়। বিভিন্ন সময়ে মোট কত টাকার লেনদেন হয়েছে সেটির পরিমাণও জানা যায়।
দ্বৈত স্বত্বার প্রয়োগ নিশ্চিত : কোনো লেনদেন সংঘটিত হওয়া মাত্র দু’তরফা দাখিলা পদ্ধতি সূত্রমতে ডেবিট ও ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে একটি হিসাবকে ডেবিট ও অন্য হিসাবকে ক্রেডিট করে জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ফলে জাবেদা হতে দ্বৈত স্বত্বার প্রয়োগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।
লেনদেনের ব্যাখ্যা : প্রতিটি লেনদেনের উৎস ও প্রকৃতি নিরূপণের উদ্দেশ্যে তারিখ অনুযায়ী জাবেদাভুক্ত প্রতিটি লেনদেনের সপক্ষে প্রয়োজনীয়, প্রাসঙ্গিক ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।
ভুলত্রুটি হ্রাস : লেনদেন খতিয়ানে অন্তর্ভুক্তের পূর্বে জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয় বলে হিসাবে ভুলত্রুটি এবং খতিয়ানে বাদ পড়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।
ভবিষ্যৎ সূত্র : জাবেদায় লেনদেনসমূহকে তারিখের ক্রমানুসারে সুশৃঙ্খলভাবে সাজিয়ে লিখে রাখা হয়। কারণ, ভবিষ্যৎ যেকোনো প্রয়োজনে জাবেদা দলিল বা প্রমাণস্বরূপ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
পাকা বহির সহায়ক : জাবেদা খতিয়ানের সহায়ক বই স্বরূপ কাজ করে বিধায়, খতিয়ান প্রস্তুত সহজ, পরিচ্ছন্ন ও নির্ভুল হয়।
খ) বিশেষ জাবেদার শ্রেণিবিভাগ:
লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বিশেষ জাবেদার শ্রেণিবিভাগ করা হয়। বিশেষ জাবেদার শ্রেণিবিভাগ নি¤œরূপ :
গ) প্রকৃত জাবেদার শ্রেণিবিভাগ:
১. সংশোধনী জাবেদা : লেনদেন লিপিবদ্ধকরণে কোন ভুল সংঘটিত হলে তা সংশোধন করতে হয়। ভুল সংশোধনের জন্য যে জাবেদা দাখিলা প্রদান করা হয় তাই সংশোধনী জাবেদা।
২. সমন্বয় জাবেদা : আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতের সময় অলিখিত এবং অসমন্বিত দফা অন্তর্ভুক্তির জন্য যে জাবেদা প্রদান করা হয় তাই সমন্বয় জাবেদা।
৩. সমাপনী জাবেদা : কোন নির্দিষ্ট বছরের মুনাফা জাতীয় আয় ও ব্যয় হিসাবসমূহ বন্ধ করার জন্য যে জাবেদা প্রদান করা হয় তাই সমাপনী জাবেদা।
৪. প্রারম্ভিক জাবেদা : ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিগত বছরের হিসাবকালের শেষ দিনের সম্পদ, দায় ও স্বত্বাধিকারের পরিমাণ পরবর্তী বছরের শুরুতে হিসাবে নিয়ে আসার জন্য প্রারম্ভিক দাখিলা প্রদান করা হয়।
ঘ. লেনদেন সমূহ জাবেদা ভুক্ত করন: Accounting assignment solution SSC-2021
শামস ব্রাদারর্স এর
জাবেদা (সাধারণ)
SSC 2021-1st Assignment solution-ব্যবসায় উদ্যোগ