9-10 Biology 2nd Chapter Srijonshil Solution
|9-10 Biology 2nd Chapter Srijonshil
১। নিচের চিত্রটি দেখে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দাও:
ক. প্লাজমালেমা কী?
খ. প্লাস্টিডকে বর্ণগঠনকারী অঙ্গ বলা হয় কেন?
গ. জীবজগতের জন্য M চিহ্নিত অংশটি গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. N চিহ্নিত অংশটির অনুপস্থিতিতে জীবদেহে কী ধরনের সমস্যা দেখা দিবে তা বিশ্লেষণ কর।
১ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর :
ক. কোষের প্রোটোপ্লাজমের বাইরে যে দ্বিস্তরবিশিষ্ট পর্দা থাকে তাই প্লাজমালেমা।
খ. প্লাস্টিডগুলোর মধ্যে ক্লোরোপ্লাস্ট এবং ক্রোমোপ্লাস্টে বিভিন্ন ধরনের রঞ্জক পদার্থ যেমন : ক্লোরোফিল, জ্যান্থোফিল, ক্যারোটিন, ফাইকো-এরিথ্রিন, ফাইকো সায়ানিন ইত্যাদি বর্ণ কণিকা থাকে যেগুলোর কারণে পাতা, ফুল, সবুজ, ফল, হলুদ, কমলা, লাল বা নীল হয়ে থাকে। যেহেতু প্লাস্টিডের কারণেই উদ্ভিদের এ ধরনের বর্ণ বিচিত্রতা দেখা যায়, সে কারণে প্লাস্টিডকে বর্ণ গঠনকারী অঙ্গ বলা হয়।
গ. M চিহ্নিত অংশটির নাম ক্লোরোপ্লাস্ট।
এটি একটি কোষ অঙ্গাণু এবং সবুজ রঞ্জক পদার্থ ক্লোরোফিল ধারণ করে, তাই একে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার দ্বারা শর্করা জাতীয় খাদ্য প্রস্তুত করা কোরোপ্লাস্টের প্রধান কাজ। একমাত্র সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমেই সৌরশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত হয়ে খাদ্যে আবদ্ধ হয়। এ কাজটি ক্লোরোপ্লাস্ট দ্বারা সম্পূর্ণ হয়। এছাড়া ক্লোরোপ্লাস্টের ক্লোরোফিলের উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বায়ুর Co2 শোষিত হয় এবং O2 উৎপন্ন হয়। ক্লোরোপ্লাস্ট প্রাণিকুলের জন্য ক্ষতিকর Co2 শোষণ করে এবং সকল জীবের শ্বসনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় O2 সরবরাহ করে জীবজগতকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ক্লোরোপ্লাস্ট এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত খাদ্য শর্করা উদ্ভিদে সঞ্চিত থাকে। যা প্রাণিকুলের খাদ্যের একমাত্র উৎস। এ জন্য উদ্ভিদকোষের ক্লোরোপ্লাস্ট জীবজগতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কোষ অঙ্গাণু।
ঘ. উদ্দীপকের চিত্রের N অংশটি একটি প্রাণিকোষে থাকে। N চিহ্নিত অংশটি কোষ অঙ্গাণু- সেন্ট্রিওল যার অনুপস্থিতিতে প্রাণীদেহে কোষ বিভাজনে সমস্যা দেখা দিবে।
সেন্ট্রিওল প্রাণিকোষ বিভাজনের সময় এস্টার-রে গঠন করে যা বিস্তৃত হয়ে মাকুতন্ত্র গঠন করে। মাকুতন্ত্র ক্রোমোসোমের প্রান্তীয় গমনে সহায়তা করে। কোষ বিভাজনের মেটাফেজ দশায় ক্রোমোসোমের সেন্ট্রোমিয়ার বিভক্ত হয় এবং তন্তুর সংকোচনে ক্রোমোসোমগুলো বিপরীত মেরুর দিকে চলে যায়। শেষে দুটি অপত্যকোষ সৃষ্টি হয় যার ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার সমান থাকে।
যদি কোষে সেন্ট্রিওল না থাকত তাহলে কোষে মাকুতন্ত্র সৃষ্টি হতো না এবং ক্রোমোসোমগুলোর বিপরীত মেরুর দিকে যাওয়া বিঘিœত হতো। ফলে কোষটিতে ক্রোমোসোম সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে একটি অস্বাভাবিক কোষের সৃষ্টি হতো এবং কোনো জীবের প্রজাতির ক্রোমোসোম সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকত না। এছাড়া কোনো বিভাজিত কোষের সেন্ট্রিওল নষ্ট হয়ে গেলে, সে কোষ থেকে সৃষ্ট অস্বাভাবিক কোষটির অস্বাভাবিক বিভাজনের ফলে টিউমার অথবা অনেক সময় ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে।
সুতরাং বলা যায় সেন্ট্রিওল প্রাণীকোষে একটি গুরুত্বপূর্ণ কোষ অঙ্গাণু।