Download Download Graphics Design File for free

9-10 Biology 3rd Chapter Srijonshil Answer

9-10 Biology  3rd Chapter Srijonshil

১। নিচের চিত্র লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

ক. অ্যামাইটোসিস কোথায় ঘটে?
খ. মিয়োসিসকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয় কেন বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের B ধাপটিতে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে না ঘটলে জীবে কী সমস্যা হতে পারে বিশ্লেষণ কর।


. ব্যাকটেরিয়া, নীলাভ সবুজ শৈবাল, ঈস্ট প্রভৃতি জীবে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন ঘটে।

খ. মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় জননমাতৃকোষের নিউক্লিয়াসটি পরপর দু’বার বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষে পরিণত হয়। এখানে যদিও নিউক্লিয়াসটি দু’বার বিভক্ত হয় কিন্তু ক্রোমোসোম একবার বিভক্ত হয়; ফলে অপত্য কোষগুলোর ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়। এজন্য মিয়োসিস কোষ বিভাজনকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলে।

গ. উদ্দীপকের B ধাপটি হলো মাইটোসিস কোষ বিভাজনের শেষ ধাপ টেলোফেজ। এ ধাপটিতে যে ধরনের পরিবর্তন ঘটে তা হলো :

i) ক্রোমোসোমগুলোতে পানি যোজন ঘটতে থাকে এবং সরু ও লম্বা আকারের হয়। এরা জড়িয়ে গিয়ে নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম গঠন করে।

ii) নিউক্লিওলাসের আবির্ভাব ঘটে। নিউক্লিয়ার রেটিকুলামকে ঘিরে পুনরায় নিউক্লিয়ার মেমব্রেনের সৃষ্টি হয়, ফলে দুই মেরুতে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসের পুনঃ আবির্ভাব ঘটে।

iii) এ ধাপে স্পিন্ডল যন্ত্রের কাঠামো ভেঙ্গে যায় এবং স্পিন্ডল তন্তুগুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়।

iv) টেলোফেজ ধাপের শেষে বিষুবীয় তলে কোষপ্লেট সৃষ্টি হয়।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি হলো মাইটোসিস কোষ বিভাজন। 

জীবদেহে মাইটোসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব অপরিসীম। মাইটোসিস বিভাজনের কারণে প্রতিটি কোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের মধ্যকার আয়তন ও পরিমাণগত ভারসাম্য রক্ষিত হয়। এর মাধ্যমে বহুকোষী জীবের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে। এই বিভাজনের মাধ্যমে অপত্যকোষে ক্রোমোসোমের সংখ্যা ও গুণাগুণ মাতৃকোষের অনুরূপ থাকে। তাছাড়া এককোষী জীবে মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। ক্ষতস্থান পূরণ করতে মাইটোসিস বিভাজন অপরিহার্য। এ বিভাজনের মাধ্যমেই বহুকোষী জীবের জননাঙ্গ সৃষ্টি হয়। এর ফলে বংশ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকে।

মাইটোসিস বিভাজন প্রক্রিয়ায় একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে চারটি এভাবে কোষের সংখ্যা বাড়তে থাকে। মাইটোসিস বিভাজন প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রিত থাকে। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হয়ে গেলে অস্বাভাবিকভাবে কোষ বিভাজন চলতে থাকে। এর ফলে টিউমার সৃষ্টি হয়। আবার ক্যান্সারও হতে পারে। ক্যান্সার একটি অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের ফসল এবং একটি মারাত্মক রোগ। 

সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, কোষ বিভাজন সঠিকভাবে না ঘটলে জীবে টিউমার ও ক্যান্সার সৃষ্টি, ক্ষতস্থান পূরণে ও বংশবৃদ্ধির জন্য জনন অঙ্গ সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এতে করে জীবে মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

২। নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাধারণত উচ্চ শ্রেণির জীবের দেহকোষে এক ধরনের কোষ বিভাজন হয়। উক্ত কোষ বিভাজনের একটি ধাপে সেন্ট্রোমিয়ার দু’টি খণ্ডে বিভক্ত হয়। ফলশ্রুতিতে একটি ক্রোমোসোম থেকে দু’টি অপত্য ক্রোমোসোম সৃষ্টি হয়।
ক. অবাত শ্বসন কী?
খ. হ্রাসমূলক বিভাজন বলতে কী বোঝায়?
গ. উল্লিখিত ধাপটির সচিত্র বর্ণনা দাও।
ঘ. উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে না ঘটলে জীবদেহে কী ধরনের সমস্যা হতে পারেবিশ্লেষণ কর।

ক. অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শ্বসন প্রক্রিয়া অবাত শ্বসন।

খ. মিয়োসিস কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় জননমাতৃকোষের নিউক্লিয়াস পরপর দু’বার বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষে পরিণত হয়। এখানে নিউক্লিয়াসটি দু’বার বিভক্ত হয় কিন্তু ক্রোমোসোম একবার বিভক্ত হয়। ফলে অপত্য কোষগুলোর ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষ এর ক্রোমোসোম সংখ্যার অর্ধেক হয়ে যায়। যেহেতু এ ধরনের কোষ বিভাজনে অপত্য কোষে ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের অর্ধেক হয়ে যায় সেহেতু মিয়োসিস কোষ বিভাজনকে হ্রাসমূলক বিভাজন বলা হয়।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ধাপটি হলো মাইটোসিসের অ্যানাফেজ দশা। এটি কোষ বিভাজনের ৪র্থ ধাপ। এ ধাপে-

i) প্রতিটি ক্রোমোসোমের সেন্ট্রোমিয়ার দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়, ফলে ক্রোমাটিডগুলো পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ অবস্থায় প্রতিটি ক্রোমাটিডকে অপত্য ক্রোমোসোম বলে।

ii) এরপর অপত্য ক্রোমোসোমের বিকর্ষণের ফলে অপত্য ক্রোমোসোমের অর্ধেক এক মেরুর দিকে এবং অর্ধেক অন্য মেরুর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। 

iii) অপত্য ক্রোমোসোমের মেরু অভিমুখী চলনে সেন্ট্রোমিয়ার অগ্রগামী থাকে এবং বাহুদ্বয় অনুগামী হয়। এ সময় ক্রোমোসোমগুলো সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুযায়ী ইংরেজি বর্ণমালার V,L,J অথবা I আকৃতিবিশিষ্ট হয়।

iv) এ ধাপের শেষের দিকে অপত্য ক্রোমোসোমগুলো স্পিন্ডলযন্ত্রের মেরূপ্রান্তে অবস্থান নেয় এবং ক্রোমোসোমের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেতে থাকে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি হলো মাইটোসিস কোষ বিভাজন। 

এই কোষ বিভাজন প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে না ঘটলে জীবদেহে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। 

মাইটোসিস বিভাজনের ফলে অসংখ্য কোষ সৃষ্টির মাধ্যমে জাইগোট থেকে একটি জীব পূর্ণ জীবে পরিণত হয়। মাইটোসিসে সৃষ্ট অপত্য কোষে ক্রোমোসোমের সংখ্যা ও গুণাগুণ একই রকম থাকায় জীবের দেহের বৃদ্ধি সুশৃঙ্খলভাবে হতে পারে। কোষের স্বাভাবিক আকার, আকৃতি ও আয়তন বজায় রাখতে মাইটোসিস প্রয়োজন। এসব কোষ বিনষ্ট হলে মাইটোসিসের মাধ্যমে এদের পূরণ ঘটে। মাইটোসিসের ফলে একই ধরনের কোষের উৎপত্তি হওয়ায় জীবজগতের গুণগত বৈশিষ্ট্যের স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। তবে অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিস টিউমার, ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।

উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে না ঘটলে অপত্য কোষে ক্রোমোসোমের সংখ্যা ও গুণাগুণ একই রকম না থাকায় জীবের দেহের বৃদ্ধি সুশৃঙ্খলভাবে না হয়ে অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে এবং জীবদেহে জটিল সমস্যা হতে পারে।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
error: Content is protected !!