Download Download Graphics Design File for free

Class 7 Science 2nd Chapter Srijonshil Answer

 Class 7 Science 2nd Chapter Srijonshil 

১। নিচের চিত্রটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

ক. রক্ত কী?
খ. আবরণী টিস্যু বলতে কী বোঝায়?
গ. P চিত্রে অস্থির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
ঘ. P ও Q চিত্রের পেশির টিস্যুর তুলনামূলক আলোচনা কর।

১নং সৃজনশীল উত্তর:

. রক্ত এক প্রকার তরল যোজক কলা।

খ. যে টিস্যু দেহের খোলা অংশকে ঢেকে রাখে এবং দেহের ভেতরের আবরণ তৈরি করে তাকে আবরণী টিস্যু বলে। 

আমাদের ত্বকের বাইরের আবরণ, মুখগহ্বরের আবরণ ইত্যাদি আবরণী কলা দিয়ে গঠিত। দেহের বিভিন্ন গ্রন্থিগুলোও আবরণী টিস্যু দিয়ে তৈরি।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত P চিত্রটি একটি হাতের চিত্র। 

হাতের অস্থি ও পেশিকে আমরা ইচ্ছামতো চালনা করতে পারি। এদের আমরা যেভাবে চালাতে চাই সেভাবেই চলে। যে পেশি আমরা ইচ্ছামতো সংকুচিত ও প্রসারিত করে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ সঞ্চালন করতে পারি তাকে ঐচ্ছিক পেশি বলে। এ পেশি অস্থির সাথে লেগে থেকে আমাদের অঙ্গ সঞ্চালনে সাহায্য করে। আমরা যখন কনুই বাঁকা করি তখন ঊর্ধ্ব বাহুর সামনের দিকের পেশি সংকুচিত হয়ে নিম্ন বাহুকে টেনে বাঁকা করে। এছাড়া এ ধরনের অস্থি হাতের দৃঢ়তা প্রদান করে।

তাই চ-চিত্রে হাতের সঞ্চালনে অস্থির গুরুত্ব অপরিসীম।

ঘ. উদ্দীপকে চিত্র P-এ হাত ও চিত্র Q-এ পাকস্থলীর চিত্র দেখানো হয়েছে। নিচে এদের তুলনামূলক আলোচনা করা হলো :

১। নিচের চিত্রটি দেখ এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

ক. কোষপ্রাচীর কী?
খ. মাইটোকন্ড্রিয়াকে শক্তিঘর বলা হয় কেন?
গ. চিত্র N মূল হওয়া সত্ত্বেও বর্ণময় কেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. চিত্র M এর টবে ঢাকা উদ্ভিদটিতে ৮-১০ দিন পর যে পরিবর্তন ঘটবে তা বিশ্লেষণ কর।

২নং সৃজনশীল উত্তর:

ক. উদ্ভিদকোষের ক্ষেত্রে কোষঝিল্লির বাইরে জড় পদার্থ দিয়ে তৈরি যে পুরু প্রাচীর থাকে সেটিই কোষপ্রাচীর।

খ. সজীব উদ্ভিদ ও প্রাণিকোষের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট দণ্ডের আকারের অঙ্গাণুগুলোকে মাইটোকন্ড্রিয়া বলে। জীবের যাবতীয় বিপাকীয় কাজ পরিচালনার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন তার একমাত্র উৎস হচ্ছে মাইটোকন্ড্রিয়া। তাই মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের পাওয়ার হাউস বা শক্তিঘর বলা হয়।
গ. উদ্দীপকে দেখানো চিত্র N একটি গাজরের চিত্র। 
এটি উদ্ভিদের একটি রূপান্তরিত মূল। সাধারণ মূলের মতো এটি বর্ণহীন নয়। সাধারণত মূলে লিউকোপ্লাস্টিড নামক বর্ণহীন প্লাস্টিড থাকে, তাই মূল বর্ণহীন হয়। কিন্তু গাজরের মূলে ক্যারোটিনয়েড নামক রঞ্জক পদার্থ থাকায় সবুজ বর্ণ ব্যতীত অন্য বর্ণের হয়। এজন্যই গাজর মূল হওয়া সত্ত্বেও বর্ণময়।
ঘ. চিত্রের M উদ্ভিদটি ঢাকা অবস্থায় থাকায় উদ্ভিদটির বর্ণযুক্ত ক্লোরোপ্লাস্টিড বর্ণহীন লিউকোপ্লাস্টিডে পরিবর্তন ঘটবে।
উদ্ভিদে সাধারণত ক্লোরোফিল নামক রঞ্জক পদার্থ থাকার কারণে সবুজ দেখায়। চিত্রের M উদ্ভিদটি ঢাকা অবস্থায় আছে। আমরা জানি ঢেকে রাখলে সেখানে সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারে না। সুতরাং M উদ্ভিদটিতেও আলো পৌঁছাবে না। ফলে ৮-১০ দিন ঢেকে রাখার পর উদ্ভিদটির ক্লোরোপ্লাস্টগুলো ধীরে ধীরে লিউকোপ্লাস্টে পরিণত হবে। কারণ যেখানে সূর্যালোক প্রবেশ করতে না পারে সেখানে লিউকোপ্লাস্টিড অবস্থান করে। তাই উদ্ভিদটির এ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে। পরে ঢাকনা সরিয়ে দিলে সূর্যের আলোয় উদ্ভিদটি আবার সবুজ বর্ণের হয়ে যাবে।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
error: Content is protected !!