Download Download Graphics Design File for free

Class 7 Scienece Chapter-1 Srijonshil Answer

 Class 7 Scienece Chapter-1 Srijonshil

১। নিচের চিত্রগুলো দেখ প্রশ্নগুলোর উত্তর দা্ও:

ক. শৈবাল কী?
খ. ছত্রাককে মৃতজীবী বলা হয় কেন?
গ. A দ্বারা সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধের উপায় ব্যাখ্যা কর।
ঘ. B ক্ষতিকারক জীব হলেও পরিবেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ, যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও।

১নং প্রশ্নের উত্তর  

ক. সমাঙ্গ বর্গের প্রধানত ক্লোরোফিলযুক্ত ও স্বভোজী উদ্ভিদরাই শৈবাল।

খ. ছত্রাক মৃতদেহের গলিত অংশ খেয়ে বেঁচে থাকে বলে এদের মৃতজীবী বলা হয়।
সমাঙ্গ বর্গের অসবুজ উদ্ভিদগুলোকে সাধারণত ছত্রাক বলা হয়। দেহে কোনো ক্লোরোফিল নেই বলে এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করতে অক্ষম। খাদ্যের জন্য জীবিত বা মৃত জীবদেহের ওপর এরা নির্ভরশীল। মৃতজীবের গলিত অংশ অথবা জৈব পদার্থ খেয়ে বেঁচে থাকে বলে এদের মৃতজীবী বলা হয়।

গ. চিত্র A একটি এন্টামিবা। এরা সাধারণত আমাশয় রোগ সৃষ্টি করে। এ রোগ প্রতিরোধের উপায় হলো :
১. যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করা যাবে না। স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে হবে।
২. মলত্যাগের পরে এবং খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
৩. হাতের নখ নিয়মিত কাটতে হবে।
৪. নিরাপদ পানি পান করতে হবে।
৫. থালা-বাসন ধোয়া ও গোসল করার কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে হবে।
৬. স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করতে হবে।
৭. চলাফেরার সময় পায়ে স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে।
৮. পচা ও বাসি খাবার খাওয়া যাবে না।
৯. পরিষ্কার জামা কাপড় ব্যবহার করতে হবে।

ঘ. চিত্র B হলো একটি ব্যাকটেরিয়া। 
ব্যাকটেরিয়া নিউমোনিয়া, ধনুষ্টংকার, রক্ত আমাশয় ও কলেরার মতো রোগ সৃষ্টি করায় একে ক্ষতিকারক জীব বলা হয়। তবে এটি পরিবেশের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করে থাকে। যেমন :
১. মৃত জীবদেহ ও জৈব আবর্জনা পচাতে সাহায্য করে।
২. একমাত্র ব্যাকটেরিয়াই প্রকৃতি থেকে মাটিতে নাইট্রোজেন সংরক্ষণ করে।
৩. পাট থেকে আঁশ ছাড়াতে সাহায্য করে।
৪. দধি তৈরিতেও সাহায্য করে।
৫. ব্যাকটেরিয়া দিয়ে বিভিন্ন জীবন রক্ষাকারী এন্টিবায়োটিক তৈরি হয়।
৬. গবেষণাগারে জিন প্রকৌশলে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
দেখা যাচ্ছে যে, পরিবেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজের প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া অংশগ্রহণ করে থাকে। তাই বলা যায়, ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকারক জীব হলেও পরিবেশের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। 


প্রশ্ন-২ : নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সোহেল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছে। তার বাবা তাকে হাঁচি ও কাঁশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করতে বললেন।
ক. ভাইরাস কী?
খ. ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয় কেন?
গ. সোহেলকে রুমাল ব্যবহার করতে বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সোহেল রোগটি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্যদের কীভাবে সচেতন করবে?

২নং প্রশ্নের উত্তর  
ক. ভাইরাস হচ্ছে নিউক্লিক এসিড ও আমিষ দ্বারা গঠিত অতিক্ষুদ্র পরজীবী যা শুধুমাত্র জীবিত কোষেই জীবনের কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ করে।
খ. একটি পূর্ণাঙ্গ কোষের বৈশিষ্ট্যসমূহ যেমন : প্লাজমালেমা, কোষপ্রাচীর, সাইটোপ্লাজম, সংগঠিত নিউক্লিয়াস প্রভৃতি ভাইরাসে অনুপস্থিত। এ কারণে ভাইরাসকে অকোষীয় জীব বলা হয়।
গ. সোহেল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়েছে বলে তাকে রুমাল ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। 
ইনফ্লুয়েঞ্জা হলো ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি বায়ুবাহিত রোগ। বায়ুর মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে বলে এ রোগকে বায়ুবাহিত রোগ বলে। হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে বায়ুতে এ রোগের জীবাণু মিশে গিয়ে অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। তাই হাঁচি বা কাশির সময় যদি রুমাল ব্যবহার করা হয় তবে এটি বায়ুতে মিশতে পারবে না এবং অন্যজনের শরীরে সংক্রমিতও হতে পারবে না।
এ কারণে সোহেলের বাবা তাকে হাঁচি বা কাশির সময় মুখে রুমাল ব্যবহার করতে বলেছেন।
ঘ. সোহেল যে রোগে আক্রান্ত হয়েছে সেটি ভাইরাসজনিত একটি বায়ুবাহিত রোগ। সোহেল এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্যদেরকে যেভাবে সচেতন করতে পারে:
১. এলাকার সবাইকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জীবনযাপনে উৎসাহিত করতে পারে ।
২. এ রোগের জীবাণু মানবদেহে কীভাবে ঢুকে পড়ে এবং কী করলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে অন্যদেরকে জানাতে পারে।
৩. এ রোগ কীভাবে ছড়ায় এবং এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে অন্যদের সচেতন করতে পারে।
৪. রোগাক্রান্ত হলে ভালো চিকিৎসকের নিকট থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ ও ঔষধ সেবন করার পরামর্শ দিতে পারে।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
error: Content is protected !!