Class 6 Science 2nd Chapter Srejonshil Answer
|৬ষ্ঠ শ্রেণী বিজ্ঞান: ২য় অধ্যায় -সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর:
সৃজনশীল প্রশ্ন:১: চিত্র দেথে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণী কাকে বলে?
খ. কুনোব্যাঙকে উভচর প্রাণী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. A ও B চিত্রের প্রাণীর পার্থক্য লিখ।
ঘ. আমাদের জীবনে ই প্রাণীর প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন:১: উত্তর:
ক) যেসব প্রাণীর মেরুদণ্ড আছে তাদের মেরদণ্ডী প্রাণী বলে। আর যেসব প্রাণীর মেরুদণ্ড নেই তাদের অমেরুদণ্ডী প্রাণী বলে।
খ ) যেসব প্রাণী জলে ও স্থলে উভয় জায়গাতেই বাস করে তাদেরকে উভচর প্রাণী বলা হয়।
কুনোব্যাঙ একটি মেরুদণ্ডী প্রাণী যার জল ও স্থল উভয় স্থানেই থাকার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ব্যাঙাচি অবস্থায় এরা ফুলকা ও পরিণত অবস্থায় ফুসফুসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়। এ কারণেই এরা জীবনের কিছু সময় ডাঙায় ও কিছু সময় পানিতে বাস করে। তাই এদের উভচর প্রাণী বলা হয়।
গ ) A চিত্রে একটি অমেরুদণ্ডী প্রাণী চিংড়ি এবং B চিত্রে একটি মেরুদণ্ডী প্রাণী মাছের ছবি দেওয়া আছে। A ও B-এর পার্থক্য নিম্নরূপ:
চিত্র-A (চিংড়ি) চিত্র-B (মাছ)
১. মেরুদণ্ড নেই। ১. মেরুদণ্ড আছে।
২. দেহে কঙ্কাল নেই। ২. দেহে কঙ্কাল আছে।
৩. চোখ পুঞ্জাক্ষি। ৩. চোখ সরল প্রকৃতির।
৪. পা সন্ধিযুক্ত, খণ্ড খণ্ড। ৪. পা নেই, পাখনা আছে।
৫. আঁইশ নেই। ৫. আঁইশ আছে।
ঘ উদ্দীপকের B প্রাণীটি হলো মৎস্য শ্রেণিভুক্ত একটি মেরুদণ্ডী প্রাণী। আমাদের জীবনে এ ধরনের প্রাণীর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
আমাদের দেহের বৃদ্ধির জন্য আমিষের প্রয়োজন। এই আমিষের বৃহৎ অংশ আমরা মাছ থেকে পেয়ে থাকি। আমিষের ঘাটতি হলে শরীরে নানারকম রোগ দেখা দেয়। মাছ আমিষ সরবরাহ করে আমাদের আমিষের ঘাটতিজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে।
আমাদের দেশের অনেক লোক মাছ চাষ করে ও বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে মাছ বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। মাছের উচ্ছিষ্ট দ্বারা তৈরি জৈব সার কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। মাছের কাটা থেকে পোল্ট্রি শিল্পের খাবার তৈরি করা হয়। মাছের তেলে কোলেস্টেরল কম থাকে, যা মানুষের হৃদ রোগের ঝুঁকি কমায়। অতএব, দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের জীবনে ই প্রাণীর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
সৃজনশীল প্রশ্ন:২: চিত্র দেথে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. সপুষ্পক উদ্ভিদ কাকে বলে?
খ. ‘ক’ চিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
গ. ‘ক’ ও ‘খ’-এর পার্থক্য লিখ।
ঘ. আমাদের জীবনে ‘ক’ উদ্ভিদের গুরুত্ব আলোচনা কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন:২: উত্তর:
ক যেসব উদ্ভিদের ফুল ও বীজ উৎপন্ন হয় তাদের সপুষ্পক উদ্ভিদ বলে। যেমন : আম, কাঁঠাল, শাপলা, জবা ইত্যাদি।
খ ‘ক’ চিত্রের উদ্ভিদটি নারিকেল গাছ যা সপুষ্পক আবৃতবীজী উদ্ভিদ। এ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
১. বীজ ফলের ভেতর আবৃত অবস্থায় থাকে।
২. পাতার শিরাবিন্যাস সমান্তরাল।
৩. কাণ্ড নলের মতো ও ভেতরে ফাঁপা এবং শাখা-প্রশাখাবিহীন।
৪. নিষেকের পর ডিম্বক বীজে ও ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়।
গ উদ্দীপকের ‘ক’ চিত্রটি নারিকেল গাছের এবং ‘খ’ চিত্রটি বট গাছের। নিচে এদের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ কর হলো :
‘ক’ (নারিকেল গাছ) ‘খ’ (বটগাছ)
i. এটি একবীজপত্রী উদ্ভিদ i. এটি দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ।
ii. কাণ্ড শাখা-প্রশাখাবিহীন ii. কাণ্ড শাখা-প্রশাখাযুক্ত।
ii. এতে গুচ্ছমূল রয়েছে। iii. এতে গুচ্ছমূল অনুপস্থিত।
iv. স্তম্ভমূল অনুপস্থিত। iv. স্তম্ভমূল উপস্থিত।
v. পাতার শিরাবিন্যাস সমান্তরাল। v. পাতার শিরাবিন্যাস জালিকাকার।
ঘ ) আমাদের জীবনে ‘ক’ উদ্ভিদ অর্থাৎ নারিকেল গাছের গুরুত্ব অনেক।
নারিকেল গাছ আমাদের ফল দেয়, এ থেকে প্রাপ্ত পানি পান করে আমরা ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ করি। আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে এ পানীয় সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ গাছ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় নারিকেল তেল পাওয়া যায়। এ গাছের ফাঁপা অংশ ভেলা হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ গাছের পাতা, ডাল ইত্যাদি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শলার ঝাড়–র দরকারি কাঠি আমরা এ উদ্ভিদ থেকে পাই। এ গাছের বাকল জাজিম, কার্পেট ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়। এর পানি পটাসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস। শাঁস পিঠা, পুলি এবং তরকারিতে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ, আমরা নারিকেল গাছের বিভিন্ন অংশকে দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে ব্যবহার করি। তাই আমাদের জীবনে উদ্ভিদটির গুরুত্ব অপরিসীম
Please follow and like us: