Download Download Graphics Design File for free

Class 6 Science Chapter-1 Srejonshil

 সৃজনশীল প্রশ্ন :০১

ফারহানের পড়ার ঘরের ক্ষেত্রফল ৪০ বর্গমিটার, যার দৈর্ঘ্য ১০ মিটার। তার পড়ার টেবিলের দৈর্ঘ্য ১ মিটার এবং প্রস্থ ৫০ সেমি। ফারহানের মা সমআকৃতির আরেকটি টেবিল সেই ঘরে রাখলেন। 
ক. দৈর্ঘ্যরে একক কী?
খ. পরিমাপের প্রয়োজন হয় কেন?
গ. ফারহানের পড়ার ঘরের প্রস্থ কত?
ঘ. টেবিল দুটি রাখার পর ঘরে কতটুকু জায়গা ফাঁকা থাকবে?

সৃজনশীল ১ উত্তর:

ক) দৈর্ঘ্যরে একক মিটার।

খ) দৈনন্দিন জীবনে নানা কাজে সঠিক ও নির্ভুল মান ও পরিমাণ জানার জন্য পরিমাপের প্রয়োজন হয়।

দৈনন্দিন জীবনে আমাদের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের তথ্য জানতে হয়। যেমন : উচ্চতা, ওজন, সময়, তাপমাত্রা ইত্যাদি। মাপজোখের মাধ্যমে আমরা মূলত কোনোকিছুর পরিমাণ নির্ণয় করে থাকি। আন্দাজ করে পরিমাপের ক্ষেত্রে সঠিক ফলাফল না-ও আসতে পারে। তাই সকল ক্ষেত্রে নির্ভুল ও সঠিক পরিমাণ জানার জন্য আমাদের পরিমাপের প্রয়োজন হয়।

  উদ্দীপকের তথ্যমতে,

ফারহানের পড়ার ঘরের ক্ষেত্রফল ৪০ বর্গমিটার এবং ঘরের দৈর্ঘ্য ১০ মিটার

∴ ফারহানের পড়ার ঘরের প্রস্থ = (ঘরের ক্ষেত্রফল ÷ ঘরের দৈর্ঘ্য) একক

= ৪০ বর্গমিটার ÷ ১০ মিটার

= ৪ মিটার

অতএব, ফারহানের পড়ার ঘরের প্রস্থ ৪ মিটার।

 

ঘ) ফারহানের পড়ার টেবিলের দৈর্ঘ্য ১ মিটার

সুতরাং পড়ার টেবিলের ক্ষেত্রফল = ১ মিটার ÷ ০.৫ মিটার = ০.৫ বর্গমিটার

যেহেতু, ফারহানের মা সমআকৃতির আরেকটি টেবিল ঘরে রেখেছেন তাই টেবিল দুটি কর্তৃক দখলকৃত 

মোট জায়গা (০.৫ x ২) = ১ বর্গমিটার।

ফারহানের পড়ার ঘরের ক্ষেত্রফল ৪০ বর্গমিটার

অতএব, ঘরে জায়গা ফাঁকা থাকবে = (৪০ – ১) বর্গমিটার

= ৩৯ বর্গমিটার

সৃজনশীল প্রশ্ন :০১

হোসেন উদ্দিন সরকার একজন রপ্তানিকারক। এ বছর তিনি বিদেশে ৫ মেট্রিক টন পাট রপ্তানি করেন। তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পূর্বে F.P.S পদ্ধতি ব্যবহার করলেও বর্তমানে M.K.S পদ্ধতি ব্যবহার করেন। 
ক. ক্যান্ডেলা কী?
খ. যৌগিক একক ব্যাখ্যা কর।
গ. এ বছর হোসেন উদ্দিন সরকার কত কিলোগ্রাম পাট রপ্তানি করলেন?
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পদ্ধতি দুটির মধ্যে কোনটি সুবিধাজনক? তোমার মতামত বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল ২ উত্তর:

 ক ক্যান্ডেলা হলো আলোক ঔজ্জ্বল্যের একক।

 খ যেসব ভৌত রাশির একক এক বা একাধিক মৌলিক এককের সাহায্যে গঠিত হয়, তাদের যৌগিক একক বলে। 

ক্ষেত্রফল ও আয়তনের একক দৈর্ঘ্যরে একক থেকে পাওয়া যায়। তাই ক্ষেত্রফল ও আয়তনের একক হলো যৌগিক একক।

  এ বছর হোসেন উদ্দিন সরকার ৫ মেট্রিক টন পাট রপ্তানি করেন। 

আমরা জানি, ১ মেট্রিক টন = ১০০০ কিলোগ্রাম

      ∴ ৫ মেট্রিক টন = ১০০০ x ৫ কিলোগ্রাম

= ৫০০০ কিলোগ্রাম

অর্থাৎ, এ বছর হোসেন উদ্দিন সরকার ৫০০০ কিলোগ্রাম পাট রপ্তানি করেন।

 ঘ উদ্দীপকে উল্লিখিত F.P.S এবং M.K.S পদ্ধতির মধ্যে M.K.S পদ্ধতি ব্যবহার করা সুবিধাজনক।

পরিমাপের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির একক ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে F.P.S এবং M.K.S অন্যতম। বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশে এককের আন্তর্জাতিক পদ্ধতি বা S.I একক ব্যবহার করা হচ্ছে। S.I. এবং M.K.S পদ্ধতি একই। সকল পদ্ধতির সাথে সমন্বয় সাধন করেই এ পদ্ধতি প্রচলন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটি সকল জটিলতা দূর করেছে।F.P.S পদ্ধতি ব্যবহার করলে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় সমন্বয় সাধন করাও কষ্টদায়ক হতে পারে। তাই উদ্দীপকে উল্লিখিত পদ্ধতি দুটির মধ্যে M.K.S পদ্ধতি সুবিধাজনক।

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial
error: Content is protected !!